আশ্রয় এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনি জানেন কী? বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে, বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চলে অবস্থিত আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিতা লাভ করে আশ্রয় এনজিও। আশ্রয় এনজিও বিশেষ করে মানবিক দারিদ্র্য হ্রাস, আয়ের দারিদ্র্য কমানো ও আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে। আশ্রয় এনজিও লোন প্রোগ্রামটি তাদের মাইক্রোফাইন্যান্স উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা বিশেষ করে সেভিংস-লেড মডেলের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
সেভিংস-লেড মডেলে সেভিংসকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিজেরাই ছোট আর্থিক তহবিল গড়ে তুলতে পারে। ২০২৫ সালের আপডেট তথ্য অনুসারে, আশ্রয় এনজিওর এই লোন প্রোগ্রাম গ্রামীণ নারী, কৃষক, আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আশ্রয় এনজিও তাদের আর্থিক স্বাবলম্বন, জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগে সহায়তা করে।
আশ্রয় এনজিও সংস্থাটি ১৫৪টি শাখার মাধ্যমে ১৯৫,১৬৫ জনেরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করে চলছে। যা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এবার তবে আশ্রয় এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আশ্রয় এনজিও লোন পদ্ধতি
আশ্রয় এনজিও লোন পদ্ধতিটি গ্রাহকবান্ধব, সহজ ও গ্রুপ-ভিত্তিক। আশ্রয় এনজিও এর লোন পদ্ধতি মূলত কমিউনিটি ম্যানেজড মাইক্রোফাইন্যান্স (সিএমএমএফ) মডেল অনুসরণ করে। আশ্রয় এনজিওতে সেভিংস ও ক্রেডিট প্রোগ্রামের মাধ্যমে লোন প্রদান করা হয়। বিশেষ করে লোনসমূহ ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি, পরিবারিক প্রয়োজন ও পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগের জন্য প্রদান করা হয়।
লোন পদ্ধতির ধাপসমূহ
আশ্রয় এনজিও লোন পাওয়ার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সহজবোধ্য। নিম্নে সুস্পষ্টভাবে এসকল ধাপ উপস্থাপন করা হয়েছে:
- প্রথমে, আপনার নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করুন বা হেল্পলাইনের মাধ্যমে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করুন।
- দ্বিতীয়ত, আপনার প্রয়োজন অনুসারে লোনের ধরন নির্বাচন করুন। যেমন: ক্ষুদ্র ব্যবসা বা গ্রীন লোন।
- তৃতীয়ত, গ্রুপ গঠন করুন( সভায় যোগ দিতে হবে)। যা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রায়শই বাধ্যতামূলক।
- চতুর্থত, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন ও যা পরবর্তীতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে এ সম্পর্কে জেনে নিন।
- পঞ্চমত, আশ্রয় এনজিও এর কর্মকর্তারা আপনার আবেদন পএ ও আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করেন।
- শেষধাপে, লোনটি অনুমোদনের পর লোনের টাকা হাতে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়।
সাধারনত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ৩-৭ দিন প্রয়োজন হয় যদি সব নথি সঠিক থাকে। এবার তবে আশ্রয় এনজিও লোনের শর্তাবলী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আশ্রয় এনজিও লোনের শর্তাবলী
বাংলাদেশের অন্যান্য এনজিওর মত আশ্রয় এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করতে বেশ কিছু শর্তাবলী অবশ্যই অনুসরণ করতে হয় গ্রাহকদের । সকল শর্তাবলী অনুসরণ করতে হয় সে সকল শর্তাবলী নিম্নে উপস্থাপন করা হয়েছেঃ
- অবশ্যই আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
- আবেদনকারী অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে। ।
- আবেদনকারী অবশ্যই বিবাহিত হতে হবে।
- কর্মক্ষম হতে হবে ও নিয়মিত বা মাসিক আয় থাকতে হবে।
- সাপ্তাহিক বা মাসিক লোন পরিশোধ করার যোগ্য হতে হবে।
- সভায় যুক্ত থাকতে হবে।
- নিয়মিত সঞ্চয় করতে হবে।
আশ্রয় এনজিও লোনের যোগ্যতা
আশ্রয় এনজিও লোন পেতে নিম্নলিখিত যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। যেমন:
- প্রথমত, আবেদনকারীকে বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে, বিশেষ করে আদিবাসী বা দরিদ্র সম্প্রদায়ের সদস্যকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
- দ্বিতীয়ত, বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- তৃতীয়ত, নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে, যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি বা অন্যান্য পেশা।
- চতুর্থত, গ্রুপ সদস্যতা প্রায়শই বাধ্যতামূলক, যা সহযোগিতা নিশ্চিত করে।
- পঞ্চমত, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে, যেমন সান্তাল, ওরাও, মাহালি ইত্যাদি জাতিগোষ্ঠী।
এই যোগ্যতা পূরণ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী সহজে লোন পেতে পারে। যা তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, একজন কৃষক তার ফসল উন্নয়নের জন্য যোগ্য হতে পারেন যদি তার সেভিংস রেকর্ড থাকে।
লোনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আশ্রয় এনজিও লোনের জন্য নিম্নলিখিত নথি জমা দিতে হবে। এসকল কাগজপত্রের মধ্যে রয়েছে:
- প্রথমত, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
- দ্বিতীয়ত, ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
- তৃতীয়ত, ইউটিলিটি বিলের (গ্যাস, পানি বা বিদ্যুৎ) সাম্প্রতিক ফটোকপি, যা ঠিকানা প্রমাণ করে।
- চতুর্থত, আয়ের প্রমাণ, যেমন ব্যবসার হিসাব বা কৃষি কার্যক্রমের বিবরণ।
- পঞ্চমত, গ্রুপ সদস্যপদের প্রমাণ, যদি প্রযোজ্য হয়।
- ষষ্ঠত, জামিনদারের পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে।
অতিরিক্ত নথির প্রয়োজন হলে সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়ে দেবেন। এই কাগজপত্রগুলি লোন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও নিরাপদ করে।
আশ্রয় এনজিও থেকে কত টাকা লোন পাওয়া যায়?
আশ্রয় এনজিও লোনের পরিমাণ গ্রাহকের সামর্থ্য, লোনের ধরন ও প্রকল্পের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ১০,০০০ থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায় ক্ষুদ্র ব্যবসা বা কৃষির জন্য। তবে, গ্রীন মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের জন্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়া হয়। মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ লোনের ক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণ সম্ভব। যা গ্রাহকের সেভিংস ও পূর্ববর্তী পরিশোধ রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে। এই লোনের পরিমাণ দরিদ্রদের ছোট উদ্যোগ শুরু করতে সহায়তা করে।যেমন একটি হস্তশিল্প ব্যবসা বা কৃষি সরঞ্জাম ক্রয়।
আশ্রয় এনজিও লোন সুদের হার
আশ্রয় এনজিও লোনের সুদের হার সাধারণত ১০-১৫%। এই সুদের হার সাধারনত লোনের ধরন ও মেয়াদের উপর নির্ভর করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনায় কম সুদ প্রদান করতে হয়। যা বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বেশ সাশ্রয়ী। গ্রীন লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার আরও কম হতে পারে পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগকে উৎসাহিত করার জন্য। বাংলাদেশের মাইক্রোফাইন্যান্স খাতে এই হার সাধারণ ও যা গ্রাহকের পরিশোধ সক্ষমতা বিবেচনা করে নির্ধারিত। উদাহরণস্বরূপ, একটি ১ লাখ টাকার লোনের সুদ বছরে ১০-১৫ হাজার টাকা হতে পারে।
এনজিওর অন্যান্য কার্যক্রম
আশ্রয় এনজিও লোন ছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। যা গ্রাহকদের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। জল ও স্যানিটেশন প্রোগ্রাম বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ও স্যানিটেশন উন্নয়ন করে। টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (এটিটিসি) দিয়ে দক্ষতা উন্নয়ন করা হয়। যা ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের অধীনে চলে। শিক্ষা প্রোগ্রামে শিশু শিক্ষা ও লিটারেসি অন্তর্ভুক্ত। আয় ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন এবং ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেশন প্রোগ্রামও রয়েছে। এছাড়া, মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট (এমইডি) প্রোগ্রাম কৃষি ও উৎপাদন ব্যবসায় স্থায়ী আয় তৈরি করে।
আশ্রয় এনজিও লোনের সুবিধা
আশ্রয় এনজিও লোনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এসকল সুবিধা আশ্রয় এনজিওকে অন্য এনজিও থেকে আলাদা করেছে। যেমন:
- প্রথমত, কম সুদের হার এবং নমনীয় পরিশোধ ব্যবস্থা দরিদ্রদের বোঝা কমায়।
- দ্বিতীয়ত, সহজ আবেদন প্রক্রিয়া এবং দ্রুত অনুমোদন সময় বাঁচায়।
- তৃতীয়ত, নারী ক্ষমতায়নের জন্য বিশেষ লোন, যা গ্রামীণ নারীদের উদ্যোগী করে।
- চতুর্থত, গ্রামীণ এবং আদিবাসী ফোকাস সহজলভ্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
- পঞ্চমত, প্রশিক্ষণ সুবিধা ব্যবসা বা কৃষি উন্নয়নে সহায়তা করে।
- ষষ্ঠত, সেভিংস-লেড মডেল আর্থিক স্বাবলম্বন শেখায়।
- সপ্তমত, গ্রীন লোন পরিবেশ সুরক্ষা করে, যেমন উন্নত চুল্লা দিয়ে বায়ু দূষণ কমানো।
এই সুবিধাগুলো দারিদ্র্য হ্রাস করে সম্প্রদায়ের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।
আশ্রয় এনজিওর শাখা
আশ্রয় এনজিওর ১৫৪টি শাখা ২৪টি জেলায় ছড়িয়ে আছে, যা বরেন্দ্র অঞ্চলে মূল ফোকাস। জেলাগুলো হলো: খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা এবং নীলফামারী। এই শাখাগুলো আদিবাসী-ঘন এলাকায় অবস্থিত। যা লোন প অন্যান্য সেবা সহজলভ্য করে।
এনজিওর যোগাযোগ ঠিকানা
আশ্রয় এনজিওর যোগাযোগের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ০১৭১১৪২৭২১৯। অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://ashrai.org.bd। ওয়েবসাইটের আশ্রয় এনজিও লোনের প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ রয়েছে । আশ্রয় এনজিও এর প্রধান কার্যালয় রাজশাহী অঞ্চলে অবস্থিত। শাখা-ভিত্তিক যোগাযোগের জন্য ওয়েবসাইটে দেখুন বা হেল্পলাইন কল করুন।
লোনের কিস্তি ব্যবস্থা
আশ্রয় এনজিও লোনের কিস্তি ব্যবস্থা সাপ্তাহিক বা মাসিক।সাধারণত যা লোনের পরিমাণ ও মেয়াদের উপর নির্ভর করে। কিস্তির পরিমাণ গ্রাহকের আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারিত হয়। লোন পরিশোধ করার জন্য গ্রাহকেরা দীর্ঘ সময় পান ও অগ্রিম লোন পরিশোধের সুবিধা রয়েছে। কিস্তি শাখায় বা নির্দিষ্ট সভায় জমা দেওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি ৫০,০০০ টাকার লোন ১২ মাসে মাসিক ৪,৫০০ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়।
আশ্রয় এনজিও লোনের প্রভাব
আশ্রয় এনজিও লোনের প্রভাব দূরগামী। এটি আদিবাসীদের আয় বাড়িয়েছে ও বেকারত্ব কমিয়েছে এবং সামাজিক সমতা নিশ্চিত করেছে। গ্রীন লোন দিয়ে বন্যা সংরক্ষণ ওবায়ু দূষণ কমেছে।লোনের ফলে নারীদের ক্ষমতায়ন হয়েছে, যা পরিবারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নত করেছে। সেভিংস-লেড মডেল দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৪৯,৮৫৫ সদস্য উন্নত চুল্লা লোন নিয়ে স্বাস্থ্য উন্নত করেছে। সামগ্রিকভাবে, এটি দারিদ্র্য হ্রাসে অবদান রেখেছে।
আরও জানতে পারেনঃ পদক্ষেপ এনজিও লোন
লোনের প্রকারভেদ
আশ্রয় এনজিও লোনের বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসা লোন দোকান বা হস্তশিল্পের জন্য। কৃষি লোন বীজ, সার বা সরঞ্জাম ক্রয়ে সহায়তা করে। গৃহস্থালি লোন পারিবারিক খরচ, শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের জন্য। নারী উদ্যোক্তা লোন নারীদের ব্যবসায়িক উদ্যোগে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে। জরুরি লোন হঠাৎ সংকট মোকাবিলায়। গ্রীন লোন উন্নত চুল্লা, বায়োগ্যাস ও সোলার প্রকল্পের জন্য। এই প্রকারভেদ গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে।
আশ্রয় এনজিও লোন সম্পর্কিত প্রশ্ন
আশ্রয় এনজিও লোনের সুদের হার কত?
সাধারণত ১০-১৫%, লোনের ধরন অনুসারে পরিবর্তনশীল।
লোনের মেয়াদ কতদিন?
৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত।
কী ধরনের লোন পাওয়া যায়?
ক্ষুদ্র ব্যবসা, কৃষি, গৃহস্থালি, নারী উদ্যোক্তা, জরুরি এবং গ্রীন লোন।
লোনের জন্য গ্রুপ গঠন কেন দরকার?
সহযোগিতা, দায়বদ্ধতা ও ঝুঁকি কমানোর জন্য।
গ্রীন লোনের সুবিধা কী?
পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও টেকসই আয়।
শেষ কথা
প্রত্যাশা করি আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আমরা আপনাকে, আশ্রয় এনজিও লোন সম্পর্কিত সকল তথ্য জানাতে পেরেছি। আপনি যদি আশ্রয় এনজিও থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই আশ্রয় এনজিও এর শাখায় বা মাঠ কর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার যে কোন প্রশ্ন বা মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।